শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিবেদক, বাগমারাঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোকনগর (সখোপাড়া) এবং কালুপাড়া (ঘটিপাড়া) গ্রামের তিন ফসলি জমিতে প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল শাহ এর নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করার অভিযোগ উঠেছে। রাতের আঁধারে দুর দুরান্তে মাটি বিক্রি করায় নষ্ট হচ্ছে পাকা রাস্তা। চলাচলে বেড়েছে চরম দুর্ভোগ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে পুকুর খনন ও মাটি বহনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ফেসবুক পোস্ট ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগষ্টের পর থেকে হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল শাহ এর বিরুদ্ধে মারামারি, চাঁদাবাজি, ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবি, বিভিন্ন ভাতার অর্ধেক পার্সেন্টেজ গ্রহন, বিচার-শালিসের নামে অর্থ আদায়, আ’লীগ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনসহ নানা কর্মকান্ড করে আসছে। এর মাঝে দলীয় কিছু অনুসারীকে নিয়ে দুটি পুকুর খনন কাজ আরম্ভ করেছেন। এসব কারণে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, আলোকনগর সখোপাড়া ডিপ বাজারসহ দুটি স্পটে প্রতি রাতেই অনুসারীদের একত্রিত করে ক্যারাম বোর্ডে জুয়ার আসর এবং ভুরিভোজের আয়োজন করা হচ্ছে। রাতে এসে বেলাল শাহ কাজ তদারকি করছেন। তার অনুসারীদের মধ্যে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মৃত পচার ছেলে আব্দুল হাকিম, কালুপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন, সেন্ডেল বাচ্চু, নামোপাড়ার আব্দুল আহাদের ছেলে আবু বাক্কার ওরফে বাঘা, আবুল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন, আয়েনের ছেলে দুলু, খাঁপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মুঞ্জুর রহমান, আব্দুল মতিন, যুবদল নেতা নান্নুর রশিদ হান্নুসহ বেশ কিছু অনুসারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রাতভর এলাকায় টহল দিয়ে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাটি বিক্রির কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
বেলাল বাহিনীর ভয়ে এলাকায় কেউ তাদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ও পুনর্বাসন করে আসছেন। যা এলাকাবাসীর মুখে মুখে শোনা যায় বলে জানা গেছে। এর আগে আ’লীগের কর্মীদের নিয়ে যুবদল-ছাত্রদল নেতাকমীদের ওপর হামলা করে আহত করার অপরাধে জেলা বিএনপি তাকে শোকজ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত পনের/বিশজন ব্যাক্তি বলেন, বিএনপি এখনো ক্ষমতায় যায়নি তার আগেই বেলাল শাহ দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। কালুপাড়া গ্রামের তিন ফসলী জমিতে অর্থ না দেয়ায় প্রথমে পুকুর খননে বাধা দেয়ার পর পুনরায় সেখানে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজের লোকজন সেট করে পাকা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রি করছেন। সরকারি ভাবে নিষেধাাজ্ঞা থাকার পরেও এমন কর্মকান্ডে এলাকাবাসীর মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#
